সম্পাদকীয়- আমি পৃথিবীতে যে সমস্ত আলোচিত /সমালোচিত বর্জিতাংশের সাক্ষাৎ জানি!তন্মধ্যে ধর্ষক অপেক্ষাকৃত অধিক পচনশীল।ধর্ষকের দুর্গন্ধ এতোটাই পীড়াদায়ক-যে শোকেছে ধর্ষণের গন্ধ,তার আর মানুষ হয়ে ফেরা হয়না মনুষ্যলোকে।পৃথিবীতে আমৃত্যু মরণ যন্ত্রণার অপবাদ নিয়ে বাঁচার নির্মম অভিজ্ঞতা কে চেয়েছে স্বেচ্ছায়?
যে অপবাদের অলিখিত মালিক রুপে আবির্ভাব হয় আমাদের মতো লোকদেখানো কিছু প্রতিবাদী দর্শকের।
ধর্ষিতার আত্ম-হননের দায় ধর্ষকের চেয়ে দর্শকদেরও কম নয়। যেদিন একজন ধর্ষিতা তার সম্ভ্রম সমস্ত হারিয়েও আমাদের মাঝে বাঁচতে পারবে নির্দ্বিধায়,সেদিন আমি ধর্ষককে এককভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারি, তার আগে নয়।
কজ দিনশেষে আমরা মিলেমিশেই কোনো ধর্ষিতার প্রাপ্য উপযুক্ত পরিচয়টুকু হনন করি,উন্নত গোষ্ঠীর মানুষ হবার দায়ে।ধর্ষকদের মতো ধর্ষিতারাও হয়ে যায় অন্ত:সারশূণ্য সমানভাবে।
পার্থক্য শুধু সেখানে –
ধর্ষকরা পায় ঘৃণা,সাজা এবং ধর্ষিতারা পায় ধুরধুর,অবহেলা।আপাত দৃষ্টিতে ধর্ষকের পাশাপাশি ধর্ষণ বৃদ্ধির কারণ গুলোও সমানুপাতিকহারে অনুসন্ধানযোগ্য এবং প্রতিহতযোগ্য।পশ্চিমা সংস্কৃতি লালিত জাতি’র পরিণতি এর থেকে সুশ্রী দাবি করা,অন্যায়ের সামিল।
ফাইনালি..
গোটা সিস্টেমটাই দাঁড়িয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে,মুসলিমদের বিরুদ্ধে,ধর্মের বিরুদ্ধে।বিবেচনা সাপেক্ষে পা বাড়ান,যা আপনার করনীয়।
✍️বাবলু